অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজীপুরে ওএমএসের আটা কালোবাজারে বিক্রি করার জন্য মজুত ও পাচারের অভিযোগে দুই ডিলার এবং এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫০ কেজি ওজনের ছয়টি আটার বস্তা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে এদিন আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলার শেনগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে হারুনুর রশিদ (৫৫), ওএমএসের ডিলার গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সাতানীপাড়া গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন শিকদারের ছেলে আল আমিন (৩৫) ও ডিলার গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানার হারবাইদ (নন্দিবাড়ী) এলাকার মৃত রহম আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম রানা (২৭)।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মহানগরের (জিএমপি) পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি- ওএমএসের আটা কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকার আক্কাছ মার্কেটের সামনে অবস্থান করছেন হারুনুর রশিদ। পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ কেজি ওজনের ছয়টি সাদা রঙের আটা বস্তা উদ্ধার করা হয়।
ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহানগরের সদর থানার শ্বশান ঘাট এলাকা থেকে ওএমএসের ডিলার আল আমিন ও পূবাইল থানাধীন নন্দীবাড়ী এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম রানাকে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিন ও মো. আরিফুল ইসলাম রানা খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের ডিলার। তারা গাজীপুর মহানগরীর বড়দী এলাকায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে ওএমএসের চাল ও আটা ইত্যাদি বিক্রি করেন।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন তারাসহ পলাতক আসামি মনির হোসাইন ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজন পরস্পর যোগসাজসে ওএমএসের আটা নির্ধারিত স্থানে বিক্রি না করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় কালোবাজারি ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদের কাছে বিক্রি করে। তাদের এ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত ওএমএসের আটা ও চালের বস্তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বস্তা ব্যবহার করে কালোবাজারির মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পূবাইল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলা করা হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার আদালতেম মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
Leave a Reply